Lakhpati Scheme Updates: মহিলাদের আয় আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে আরও একবার এগিয়ে এল সরকার! দুর্মূল্যের বাজারে সংসারের হাল ধরতে এবার হাত লাগাবে মহিলারাও। এমনিতেই রাজ্য সরকার মহিলাদের জন্য একের পর এক নানা প্রকল্পের ব্যবস্থা করেছেন। লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে শুরু করে বিধবা ভাতা, নানা প্রকল্পের মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। এবার সেই সাহায্যে যোগদান করল কেন্দ্রীয় সরকার। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সবটাই জেনে নিন বিস্তারিত।
Lakhpati Scheme-র লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ৩ কোটি
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন লোকসভার আগেই ভারতের সাধারণ অর্থ বাজেট পেশ করে ফেললেন। এটাই মোদি সরকারের বর্তমান মেয়াদের শেষ অন্তর্বর্তী বাজেট। নারী, যুবক, গরীব এবং কৃষক এই চার শ্রেণীকে সামনে রেখেই তৈরি হয়েছে এই বাজেট। পাশাপাশি এই বাজেটে নারীদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করলেন নির্মলা সীতারামন। তিনি বাজেট বক্তৃতায় জানান, এবারে লক্ষ-পতি দিদি নামের একটি নতুন যোজনা শুরু করা হবে এবং এই যোজনাকে আরও সাফল্যমণ্ডিত করতে চেষ্টা করবে ভারত সরকার। এর আগে গত ১৫ আগস্ট লালকেল্লার প্রাচীর থেকে এই পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন অর্থমন্ত্রী জানান, রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত প্রায় এক কোটি মহিলারা লক্ষ-পতি দিদি হয়ে উঠেছেন। প্রথমে এই প্রকল্পে ২ লক্ষ মহিলাকে টার্গেট করা হলেও এবারে এই প্রকল্পের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে ৩ কোটি।
আরও পড়ুন: কৃষক বন্ধুদের টাকা আর ঢুকবে না! এই কাজটি অবিলম্বে শীঘ্রই করুন
মহিলাদের জীবন আরও ভালো করতে চলেছে এবং তাদের মধ্যে আত্মনির্ভরতা নিয়ে আসতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮৩ লক্ষ মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী রয়েছে। প্রায় নয় কোটি মহিলা এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে যুক্ত যারা সাবলম্বী হয়েছেন। এই স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের আয় বাড়াতেই এবারে লক্ষ-পতি দিদি যোজনা শুরু করেছে সরকার। আয় বাড়ানোর পাশাপাশি এলইডি বাল্ব তৈরি থেকে শুরু করে ড্রোন মেরামত, প্লাম্বিং এবং অন্যান্য প্রযুক্তিগত কাজ শেখানো হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। নারীদের আর্থিক বোঝাপড়া বাড়াতে কর্মশালাও করা হবে। সঞ্চয়ের বিকল্প ছোট ঋণ বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ উদ্যোক্তা সহায়তা এবং বীমা কভারেজ এর সুবিধা পাওয়া যায় এই প্রকল্পে।
Lakhpati Scheme-এ আবেদন করার জন্য যোগ্যতা
এই প্রকল্পের দরুন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত নারীরা বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে চাকরির সুযোগ পাবেন। এছাড়াও তারা নিজেদের ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন। তবে এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে হলে মহিলাদের পারিবারিক বার্ষিক আয় কমপক্ষে হতে হবে এক লক্ষ টাকা।