High Secondary Exam: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হলো স্কুল জীবনের সর্বশেষ পরীক্ষা। এই পরীক্ষার ফলাফল ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ করে। উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উচ্চমাধ্যমিকে পাস নাম্বার (Pass Numbers of High Secondary Exam)
উচ্চমাধ্যমিকে পাস নাম্বার হলো মোট ৫০০ নম্বরের মধ্যে ৩০০ নম্বর। অর্থাৎ প্রতিটি বিষয়ে ৩০ নম্বর পেলে উচ্চমাধ্যমিকে পাস করা যায়। তবে যেসব বিষয়ের প্রাকটিক্যাল ও প্রজেক্টের মোট নাম্বার ৩০, সেসব বিষয়ে প্রাকটিক্যাল ও প্রজেক্টে ৩০ নম্বরের ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৯ নম্বর এবং লিখিত পরীক্ষায় ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ২১ নম্বর পেতে হবে।
উচ্চমাধ্যমিকে গ্রেডসমূহ (Grade of High Secondary Exam)
উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নাম্বারের ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের গ্রেড দেওয়া হয়। উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নাম্বার অনুযায়ী গ্রেডসমূহ নিম্নরূপ:
প্রাপ্ত নাম্বার | গ্রেড | পারফরম্যান্স |
---|---|---|
৯০-১০০ | O | অসামান্য |
৮০-৮৯ | A+ | চমৎকার |
৭০-৭৯ | A | খুব ভালো |
৬০-৬৯ | B+ | ভালো |
৫০-৫৯ | B | সন্তোষজনক |
৪০-৪৯ | C | ন্যায্য |
৩০-৩৯ | P | পাস |
৩০ এর কম | F | ব্যর্থ |
সামগ্রিক গ্রেড
উচ্চমাধ্যমিকে পাঁচটি বিষয়ে প্রাপ্ত মোট নাম্বারকে ৫ দিয়ে ভাগ করলে যে নাম্বার পাওয়া যায়, তাকে সামগ্রিক গ্রেড বলা হয়। অর্থাৎ, যদি কোন পরীক্ষার্থী পাঁচটি বিষয়ে মোট ৪০০ নাম্বার পায়, তাহলে তার সামগ্রিক গ্রেড হবে ৮০।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা হলো জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। এই পরীক্ষার ফলাফল ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ করে। তাই, উচ্চমাধ্যমিকে ভালো ফলাফল করতে হলে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়মিত পড়াশোনা, শিক্ষকের নির্দেশনা অনুসরণ এবং পর্যাপ্ত অনুশীলন করা উচিত। এছাড়াও, উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলো মনে রাখা জরুরি।