WBBSE Madhyamik Exam Paper Check Students will be Benefited New Rules: পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক পরীক্ষা স্কুলশিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এই পরীক্ষায় ভালো ফল করার জন্য ছাত্রছাত্রীরা দীর্ঘদিন ধরে পরিশ্রম করে। কিন্তু পরীক্ষার পর খাতা দেখা নিয়ে নানা অভিযোগ উঠে থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, ছাত্রছাত্রীদের উত্তরপত্র সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। ফলে তাদের প্রাপ্ত নম্বর কমে যায়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে পর্ষদের বিশেষ ঘোষনা!
সম্প্রতি আসন্ন মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের বৈঠকে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষকদের ডাকা হয়। সেখানেই দেখা যায়, ১৫০ জনেরও বেশি শিক্ষক উত্তরপত্র মূল্যায়নে ভুল করেছেন। কেউ হয়তো নম্বরের বিভাজন জানেন না, আবার কেউ জানেন না সঠিক অঙ্কের হিসেব। এর ফলে পরীক্ষার্থীদের পুনরায় মূল্যায়নের আবেদন করলে প্রাপ্ত নতুন নম্বরের পার্থক্য অনেকটাই হয়।
এই কারণেই এই বছর ১৫০ জন শিক্ষককে মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এই তালিকায় প্রায় ৬০ জন শীর্ষস্তরের পরীক্ষকও রয়েছেন।
শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ
এছাড়াও, মাধ্যমিক স্তরে উত্তরপত্র দেখার দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে চলেছে পর্ষদ। প্রতিটি প্রশ্নপিছু কত নম্বর দেওয়া যেতে পারে, প্রশ্নের পার্থক্যে কতটা নম্বরের সর্বোচ্চ পার্থক হতে পারে তার ভিত্তিতে একটি বিশেষ বৈঠক আয়োজন করে তার বিস্তারিত জানানো হবে সকল দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকদের।
Madhyamik Pariksha: নম্বরের বিস্তর ফারাক কেন?
মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “প্রায় প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর খাতা পুনরায় চেকিং এর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৫% নম্বরের কম বেশী হচ্ছে। কেন নম্বরের এই বিস্তর ফারাক হচ্ছে তা খুটিয়ে দেখবে পর্ষদ।” পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, প্রতিটি বিষয়প্রতি বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের বৈঠক বসিয়ে কোন প্রশ্নপ্রতি কত নম্বর সর্বোচ্চ দেওয়া যেতে পারে তাও নির্ধারণ করা হবে। প্রতিটি শিক্ষককে আবশ্যক ভাবে সেই নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে।
আরো দরকারি » WBBSE Parsad Test Paper 2024: মাধ্যমিক সেরা টেস্ট পেপার! যা দেখে নিতে হবে
পড়ুয়াদের সুবিধা
এই সিদ্ধান্ত ছাত্রছাত্রীদের জন্য বড় সুবিধা হবে। সঠিকভাবে মূল্যায়ন হলে ছাত্রছাত্রীদের প্রাপ্ত নম্বরের সঠিকতা নিশ্চিত হবে। ফলে তারা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী ফল পাবে। এই পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত হলে মাধ্যমিক পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে এবং ছাত্রছাত্রীদের সুবিধা হবে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিশিয়াল নোটিফিকেশন (যেখানে প্রধান পরীক্ষকদের নিয়ে মিটিং হওয়ার কথা হয়েছে) » Download PDF
আরো দেখুন » মাধ্যমিক পাঠ্য বইয়ে QR কোড! ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনাকে আরও সহজ এবং মজাদার করে তোলার উদ্যোগ
সকলের মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, পরীক্ষার খাতা দেখার কাজ থেকে মুক্তি হলে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকারাই স্বস্তিতে থাকেন, আদৌ কী তাদের কোন ক্ষতি হয়? এই প্রসঙ্গে ফলে রাখা ভালো, প্রত্যেক শিক্ষক শিক্ষিকাদের সার্ভিস বুক বা চাকরিজীবনের সমস্ত রেকর্ড পর্ষদের কাছে থাকে। সেক্ষেত্রে কোন শিক্ষক বা শিক্ষিকার সার্ভিস রেকর্ডে লাল দাগ পরে গেলে পরবর্তীকালে বা অবসরকালীন সময় অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ থেকে বঞ্চিত হবেন। তাই যাতে চিহ্নিত শিক্ষক শিক্ষিকারা এই ভুল পুনরায় না করেন তাই এটি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।